বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে : বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলা বানিয়াচং উপজেলার ১৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধেও ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ নতুন শিক্ষার্থীদের জানানোর জন্যই “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার”স্থাপনের নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এরই মধ্যে বানিয়াচং তুষার স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে এই কর্ণার। এই উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা কর্ণারে স্থান পেয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্র,তথ্য ও ইতিহাস। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন লেখকের প্রবন্ধ,বিবৃতি,বক্তৃতা,বাণী,নির্দেশ,সাক্ষাতকার ও বিরল ছবিও স্থান পেয়েছে এই কর্ণারে। কোন বইগুলো স্থান পাবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। এই নির্ধারিত বই ইতিমধ্যে পৌছে গেছে সকল বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা“অসমাপ্ত আতœজীবনী” বইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে বুদ্ধিজীবিসহ সরকারি দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ২০০৪ সালে প্রকাশিত এ বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ অবস্থার বিশদ বর্ণনা রয়েছে। বইটিতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব,শিক্ষা জীবনের সংগ্রাম সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড,ভাষা আন্দোলন,ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা,যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন,পাকিস্থান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জেল জীবনের দৈনন্দিন বিবরণ বা ডায়েরির ওপর নির্ভর করে দ্বিতীয় এ বইয়ের নাম “কারাগারের রোজনামচা শীঘ্রই ইংরেজী ভাষা ছাড়াও আরো কয়েকটি ভাষায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এই বইটিও বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারে স্থান পাবে।
তুষার স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল রেজা সোহেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কর্ণার থেকে ছোট ছোট সোনামনিরা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক না জানা ইতিহাস জানতে পারবে। পাশাপাশি এই চেতনায় গড়ে উঠতে সহায়ক হবে পরবর্তী প্রজন্ম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে এই বিদ্যালয়গুলোতে ইতিহাস সম্বলিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা জানবে মহান নেতার ত্যাগের ইতিহাস। এ কর্ণারের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জানার আগ্রহ যেমন বাড়বে তেমনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাগ্রত থাকবে।